আমরা যে যার মতো করে যাকাত দেই। কেউ শাড়ি লুঙ্গি, কেউ কাপড়। কিন্তু এই টাকায় কারোই জীবন মানের উন্নয়ন হয় না। তাই সরকার যাকাত নিয়ে একটা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মনে হয়, সেখানে আপনারা সহযোগীতা করলে যাকাতটা খুব কার্যকরি হবে।
জেলা-উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায় থেকে যাকাত সংগ্রহে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নে বুধবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সকলের সহযোগীতা চান নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
তাঁর ভাষ্য, প্রয়োজনে যাকাত দু’ই অংশে ভাগ করে, একটি নিজেরা দেন, অন্য অংশ সরকারের ফান্ডে জমাদেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা যদি ঠিক ভাবে আমাদের যাকাতটা আদায় করি, আমরা মনে হয়, আগামী ৫ বছর পরে বাংলাদেশের কোন মানুষকে যাকাত দেওয়ার জন্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটাই যাকাতের পরিপূর্ণ নিয়ম। যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক, আমি বলবো, বিষয়টা খেয়াল রাখবেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবেন।
যাকাত ফান্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৮২ এর মাধ্যমে যাকাত ব্যবস্থাপনার কাজ করতো সরকার। সরকারিভাবে যাকাত সংগ্রহের লক্ষ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ কোনো আইন না থাকায় সময়োপযোগী করে নতুন আইনটি হালনাগাদ করে প্রণয়ন করা হয় ‘যাকাত ব্যবস্থাপনা আইন-২০২২’।
জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী জেলা নারায়ণগঞ্জ। তাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি যাকাত এখানে দেওয়া হয়। যাকাত ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে নির্দেশ করা হয়েছে, বলা হয়েছে যাকাতের অর্থ সংগ্রহ করতে। সরকারের চাওয়া হচ্ছে, সরকারের মাধ্যমে যাকাত দেওয়া হবে। এমন ভাবে দেওয়া হবে, এ বছর যে যাকাত নিবে, সেই যেন পরবর্তী বছর যাকাত দেয়। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো, আপনারা সরকারের যাকাত ব্যবস্থাপনায় যাকাত দিয়ে ধনী জেলা হিসেবে, মান রাখবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজেরে সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের ইফতার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম প্রমুখ।