জয়পুরহাটে আপন দুই বোন অপহরণের ১০ দিন পর উদ্ধার, গ্রেফতার ২
স্টাফ রিপোর্টার(এস এম মিঠু)
জয়পুরহাটের কালাইয়ে আপন দুই বোন অপহরণের ১০ দিনের মাথায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজন অপহরণকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল উদ্ধারকৃত দুই বোন উপজেলার মাত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিয়ালা-মাত্রাই সড়কের ছ’মিল এলাকা থেকে তাদের অপরহণ করে নিয়ে যায় অপরহণকারীরা।
ঘটনার ১০দিনের মাথায় গতকাল (১৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা তাদেরকে নিয়ে ঢাকার উর্দ্দেশ্যে যাওয়ার পথে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের সাদুরিয়া এলাকা থেকে অপহৃত দুই বোনকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী দুইজনকে গ্রেফতার করে। অপহরণের ঘটনায় ১৫ এপ্রিল কালাই থানায় ৬ জনকে আসামী করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন অপহৃত দুই বোনের বাবা রেজাউল সরকার।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলেন, উপজেলার ভেরেন্ডি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে কাজল মিয়া (২২) এবং পার্বতীপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে নাজু (২৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাত্রাই সোনারপাড়ার রেজাউল সরকারের দুই মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসি (১৬) এবং রোজিনা আক্তার (১৪)। দুই বোন মাত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। গত ৯ এপ্রিল সকালে তারা দুই বোন এক সাথে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিয়ালা-মাত্রাই সড়কের ছ’মিল এলাকা থেকে তাদের অপরহণ করে নিয়ে যায় অপরহণকারীরা।
লোকলজ্জা আর সামাজিকতার কারনে রেজাউল সরকার নিজেই বিভিন্নভাবে তাদের উদ্ধারের চেষ্টাও করেন। অবশেষে গত ১৫ এপ্রিল বাবা রেজাউল সরকার বাদী হয়ে এলাকার ৬ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা উপজেলার ভেরেন্ডি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে কাজল মিয়া (২২), পারবর্তীপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে নাজু (২৫) এবং আপেল (২৪), একই গ্রামের সালাম শেখের ছেলে মীর শহিদ (২৬), দুলাল মিয়ার স্ত্রী নাদিরা বিবি (৪৫) এবং ভেরেন্ডি গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস।
মামলার পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার উর্দ্দেশ্য যাওয়ার পথে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের সাদুরিয়া এলাকা থেকে অপহৃত দুই বোনকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী দুইজনকে গ্রেফতার করে।
অপহরণকারী দুইজনকে গ্রেফতার এবং অপহৃত দুই বোনকে উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মুঈনদ্দীন বলেন, ঘটনার পরপরই যদি পুলিশকে অবগত করা হতো, তাহলে আরও আগেই তাদেরকে উদ্ধার এবং সকল আসামীদের আইনের আওতায় আনা হতো।