উৎসব মুখর ইফতারে মুখরিত ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস
জহিরুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি ;
বিকেলের সূর্যটা পশ্চিমে হেলে পড়েছে, স্নিগ্ধ বিকেলের দক্ষিণা বাতাস গায়ে লাগছে। পড়ন্ত বিকেলের নির্মল পরিবেশে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় পেপারে খেজুর, মুড়ি, চানা বুট, পেয়াজু ইত্যাদি নিয়ে গোল হয়ে বসেছে অনেকে । কেউ কেউ সরবত ও পানি আনায় ব্যস্ত। আবার কাউকে দেখা যাচ্ছে আপ্যায়নের কাজ করছে। প্রতিদিন ই ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে এমনই উৎসব মুখর পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে।
রমজান মাস মুসলিম উম্মাহ’র কাছে একটি পবিত্র ও বরকতময় মাস। আল্লাহ তায়ালা এই এই মাসেই সবচেয়ে বেশি রহমত ও বরকত নাজিল করেন। আর এই মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মুহূর্ত হলো সাহরি ও ইফতারের সময়।
সাহরি সাধারণত ভোর বেলা হয় বিদায় সবাই পারিবারিক ভাবে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে সাহরি করে থাকে। কিন্তু ইফতারের ক্ষেত্রে দৃশ্যপট টা ভিন্ন। ইফতারের সময় পরিবারের সদস্যরা ব্যতীত ও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের দাওয়াতি মেহমান থাকেন।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে ইফতারের সময়ে অন্যরকম একটি উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করে। ঢাকা কলেজ
ক্যাম্পাসেও সেই উৎসবমুখর পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিদিন ই ইফতারের সময় বন্ধুদের সাথে বসে ইফতারি করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় থেকে ভালোবাসার টানে প্রানের ক্যাম্পাসে ছুটে আসে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্ররা।
পাঁচ বছর আগে স্নাতক সম্পন্ন করা একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ইফতারের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ক্যাম্পাসে ছেড়েছি বছর কয়েক হলো, আমাদের সময় এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে ইফতারি করার সুযোগ না হলেও দীর্ঘ সময় পর ক্যাম্পাসে এরকম পরিবেশে বন্ধুদের সাথে ইফতারি করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে।
বিকেল হতেই বিভিন্ন সমাজিক, রাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও বন্ধুসংগঠনের উদ্ব্যোগে শুরু হয় ইফতারের উৎসব মুখর আয়োজনের ব্যস্ততা। ছাত্রদের আনাগোনায় মুখরিত হয় কলেজ ক্যাম্পাস। স্নিগ্ধ বিকেলে প্রসস্থ মাঠের সবুজ গালিচায় আয়োজন চলে ইফতারের। ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে গল্প আড্ডা ও স্মৃতিচারণে মেতে উঠে সবাই।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ মোল্লা ক্যাম্পাসে আসেন বন্ধুদের সাথে ইফতারি করার জন্য। বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাসে বসে ইফতার করার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সহপাঠী বন্ধুদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে এই প্রথমবারের মতো সবাই একসাথে ইফতারে অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এভাবেই একতা, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।