গোলাপগঞ্জে অতিরিক্ত দামে কাপড় বিক্রি: ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
সিলেট প্রতিনিধি :: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠতে শুরু করেছে কাপড়-জুতার বাজার। ইতোমধ্যে মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে নারী-পুরুষের ভিড়।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কাপড়-জুতার দাম হাঁকেন কেনা দামের চাইতে দুই থেকে পাঁচ গুণ বেশি। বিষয়টি নজরে এসেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের। তাই এবার সরকারি এ সংস্থা এসব অতিরিক্ত মুনাফাখোর ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। এমন অপরাধে সোমবার (১৮ এপ্রিল) সিলেটের গোলাপগঞ্জে ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ হাজার টাকায় কেনা কাপড়ের দাম চাওয়া হয় ৫ হাজার টাকা । ভোক্তাদের সাথে দাম কষাকষি করে তা বিক্রি হয় কখনও ৪ হাজার টাকায় আবার কখনও ১৫ শ টাকায়। বছরের পর বছর ধরে সিলেটের বিভিন্ন কাপড়ের বাজারে এভাবেই চলছে বেচাঁকেনা। ফলে কাপড় কিনতে গিয়ে ঠক খেতে হয় সাধারণ ভোক্তাদের। দর কাষাকষি না করতে পেরে অনেকেই হয়তো দ্বিগুন অথবা তিনগুন দামে কাপড় কিনে হচ্ছেন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
আবার অনেকে একাধিক দোকান যাছাইবাচাইয়ের মাধ্যমে দরকষাকষি করে যথাযথ দামে কাপড় কিনতে পারলেও ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ও শ্রম।
ভোক্তাদের এ ধরনের হয়রানি ও প্রতারণা থেকে মুক্তি দিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও কাপড়ের দোকানে অভিযান শুরু করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কাপড়ের গায়ে কোনো গোপন কোড নয়, বরং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য লেখা নিশ্চিত করতে সোমবার দিনব্যাপী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়।
অভিযানকালে কাপড়ের দোকানে দাবিকৃত বিক্রয়মূল্যের সাথে ক্রয় রশিদে উল্লেখিত মূল্যের অসামঞ্জস্য, ক্রয় রশিদ প্রদর্শন করতে না পারা, অতিরিক্ত মূল্যে কাপড় বিক্রি করা এবং কাপড়ের গায়ে স্টিকারে সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য না লেখে বিভিন্ন গোপন কোড লিখে রাখার অপরাধে প্রাথমিক অবস্থায় সতর্কতামূলক কার্যক্রম হিসেবে গোলাপগঞ্জের তামান্না এন্ড আমিনা ফ্যাশনকে ২ হাজার টাকা, ফেয়ার লিডিসকে ২ হাজার টাকা, আনিছা ফ্যাশনকে ২ হাজার টাকা, সায়ান ফ্যাশনকে ২ হাজার টাকা এবং নীলিমা ফ্যাশন এন্ড কসমেটিকস শপকে আরো ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ। অভিযানে সহযোগিতা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর একটি টিম।
আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সিলেটে ঈদের কেনাকাটায় ভোক্তাদের হয়রানি ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে শাড়ি-কাপড় ও প্রসাধনির দোকানগুলোতে এমন অভিযান অব্যহত থাকবে। তবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে প্রাথমিক অবস্থায় জরিমানার পরিমাণ সীমিত রেখে সচেতনতামূল প্রচারণায় জোর দিচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর।