নিজস্ব প্রতিবেদক
একটি সেবামূলক সংস্থা হিসবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ যে কোনও বেসরকারি ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করতে আগ্রহী হবে এবং এগিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ ১ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মধুমতি ব্যাংক কাজ করতে আগ্রহী জানিয়ে মেয়র বলেন, এ প্রেক্ষিতে আপনাদের (ফিল্ম ফোরাম) যদি আবেদন থাকে তবে আমরা অবশ্যই সে বিষয়টি বিবেচনা করবো। এছাড়াও ঢাকা শহরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আপনাদের উৎসব ও যে কোনও কার্যক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আপনাদের সাথে এবং আপনাদের পাশে থাকবে।”
লালকুঠি সংলগ্ন এলাকায় রাস্তাও নেই, নদীর পাড়ও নেই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমরা যেভাবে বাইরের শহরে গিয়ে নদীর থেকে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো দেখে উপভোগ করি, সেই সুযোগটা আমাদের একদমই নেই। কারণ, বিআইডব্লিটিএ আমার রাস্তার অংশ অর্ধেক দখল করে নিয়ে যেভাবে নৌকা-লঞ্চের ঘাট করেছে! সুতরাং, আমার রাস্তাও নেই, নদীর পাড়ও নেই। নদীও দেখা যায় না, লালকুঠি তো দূরে থাক!”
ঘাট সরানো নিয়ে অনেক দেন-দরবার করতে হয়েছে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “এ নিয়ে অনেক ধাক্কাধাক্কি চলছে। বিষয়গুলো আমরা দেখছি। ওনারা রাজি হয়েছে যে, লঞ্চঘাটটি তারা স্থানান্তর করবে। স্থানান্তর করলে আমরা সামনের নদীর অববাহিকা খুলে দেবো, সেখানে আমরা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করবো। যাতে ঢাকাবাসী সেখানে যেতে পারেন, নদী উপভোগ করতে পারেন, লালকুঠি উপভোগ করতে পারেন।”
লালকুঠি সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, “আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি স্থাপনা রয়েছে লালকুঠি। একসময় সেটাকে মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহার করা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও সেখানে এসেছেন, অনুষ্ঠান করেছেন। ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে সেটার তাৎপর্য রয়েছে। আমরা সেটার সংস্কারে হাত দিয়েছি।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা চলচ্চিত্রজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে ১০ জন স্বশরীরে উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মানজারে হাসীন মুরাদ, উৎসব আয়োজক কমিটির পরিচালক সৈয়দ ইমরান হোসেন কিরমানী বক্তব্য রাখেন।