নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আবেগের-ভালোবাসার-ভ্রাতৃত্বের-সৌহার্দ্যের। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারত কেবল বাঙালি শরণার্থীদের আশ্রয় দান ও খাদ্য সরবরাহই করেনি, ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে তাদের জীবনও উৎসর্গ করেছে। যুদ্ধোত্তর স্বাধীন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে পালন করেছে অসাধারণ বন্ধুর ভূমিকা। তাই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঐতিহাসিক, আত্মিক এবং রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ।
আজ বিকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার সেন্ট্রাল পার্কে পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড আয়োজিত ‘৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলা ২০২২’ -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দু’বাংলা হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এক অভিন্ন বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। দু’বাংলার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে একই সুঁতোয় গাঁথা ও মেলবন্ধনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিনিময়। আর এর অন্যতম উপকরণ হচ্ছে পারস্পরিক বইমেলায় অংশগ্রহণ।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, কলকাতা পুস্তক মেলা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বইমেলা হিসাবে সুপরিচিতি লাভ করেছে। এটি মূলতঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বইমেলা হলেও বাংলা ভাষাভাষী মানুষ বিশেষ করে বাংলাদেশীদের নিকট এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বইমেলা হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত ও সমাদৃত হয়ে আসছে। কলকাতার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে মেলাটি একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে।
কে এম খালিদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি এসময় ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলা সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মর্মে মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
প্রধান অতিথি বলেন, আমি বাংলা ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রভেদ করতে পারি না। দু’বাংলার সম্পর্কের সীমানা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়া যায় না। দু’বাংলার সম্পর্ক চিরমধুর। তিনি বলেন, বাংলার সভ্যতা ও সংস্কৃতি মিশে তৈরি হয় বিশ্বসভ্যতা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ দু’দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আবার বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে। তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাংলাদেশের মতো এপার বাংলায়ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।
ডিএইচডি