নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, তিনি আরও বলেন, যখন শামীম ওসমান তোলারাম কলেজের ভিপি, ছাত্রনেতা। তখন আমি নারায়ণগঞ্জে একজন ডার্কসাইটে শ্রমিক নেতা। আমি শামীমের পায়ে হাঁটি না। আমি নিজস্ব জনশক্তিতে হাঁটি। এখন কেউ যদি মনে করে নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের চাহিদা পূরনের জন্য যাদের আর্মি স্টাইলে তুলে দিচ্ছে সে হকারদের জন্য আমাকে প্রয়োজন। তারা যদি মনে করে তৈমূর আলম খন্দকারের কাছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নিরাপদ তাহলে তারা সে অনুযায়ী কাজ করবে।
”তাকে (আইভী) নাকি কেউ সাপোর্ট দেয়না, এখানে আমি কি করবো। তাদের এমপি, দলের নেতাকর্মীরা যদি তাকে সাপোর্ট না দেয় সেটা আমার করার কিছু নেই। সিটি করপোরেশনে অতিরিক্ত তিন চারগুন ট্যাক্স দিতে গিয়ে তো তারাও ভুক্তভোগী। আমি তো সকলের ভোট চাইবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনবার আমার কথা বলেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের ভোটার হলে সবার আগে তার কাছে গিয়ে ভোট চাইতাম। আইভী প্রার্থী না হলে আইভীর ভোটও চাইতাম।”
শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট এবং আইভীকে শামীম ওসমান সমর্থন দেয়নি, আইভীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার কাহচে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তৈমূর বলেন, স্থানীয় সরকার জাতীয় সরকার থেকে অনেক আলাদা। আমি প্রশাসনের ওপর কখনও নির্ভর করিনি কখনও করবো না। বিআরটিসিতে থাকার সময় কারও ওপর নির্ভর করিনি। নিজের টেলিফোন নাম্বার সব জায়গা দিয়ে রেখেছিলাম। এতে আমি মনে করি আমার কাজটা সুন্দর হয়েছে। আমি আজকে থেকে রাস্তা ঝাড়ু দেইনা। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তা ঝাড়ু দেই। এটা আমার জন্য কোন সমস্যা না।
তিনি বলেন, আমি জনগনের প্রার্থী। জনগনের চাহিদার কারনেই আমাকে প্রার্থী হতে হয়েছে। পৌরসভার ও সিটি করপোরেশন ১৮ বছর যাবৎ এক ব্যক্তির হাতে। এতে ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট শক্ত হয়েছে কিন্তু নগরবাসীর সেবা বৃদ্ধি পায়নি। ফলে নগরবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ। এখানে একেকজন একেক দল করে। কিন্তু ডান বাম সকলেই আমার পাশে। নারায়ণগঞ্জের নাগরিকদের জিম্মাদারি কার কাছে হেফাজতে থাকবে এটা দেখার দায়িত্বও তাদের। সে হিসেবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। আমি বিএনপি কী বিএনপি না এটা নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করেন। আমাকে বিএনপি বহিষ্কার করেনি। তারা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে সকল দলের সমর্থন যেন আমি পাই।
”আমি উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। আমার জন্ম রাজপথে। আমি চাই আমার মৃত্যুটাও যেন রাজপথেই হয়।”
তৈমূর বলেন, আমি নিজে একজন স্পোর্টসম্যান। আমি সাভার আর্মি গলফ ক্লাবের সদস্য। রাইফেল ক্লাবে খবর নিয়ে দেখবেন আমি বেস্ট শ্যুটার ছিলাম। সুপ্রিম কোর্টে আমি তিনবার ব্যাটমিন্টন চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। খেলাধুলার প্রতি ছোটবেলা থেকেই আমার ঝোঁক। সে হিসেবে আমি মনে করি কিশোর গ্যাংয়ের জন্য দায়ী সমাজ ও স্থানীয় সরকার। তাদের দায়িত্ব মানুষের কাছে বিকল্প তুলে দেয়া। এগুলো আমার জন্য বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। আমি সিটি করপোরেশনকে আমার সন্তানের মত চালাবো।
তিনি আরও বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) আমার সাথে হেঁটে দেখেন। একশো লোক নিয়ে বের হলে হাজার লোক হয়ে যায়। সকল দল মতের লোক আমার সাথে আসছে। সে (আইভী) এপার্টমেন্ট করছে, এপার্টমেন্ট করা সিটি করপোরেশনের কাজ নয় এটা রাজউকের কাজ। এই এপার্টমেন্ট বিক্রির স্বচ্ছতা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। এখানে কমিউনিটি সেন্টারসহ সামাজিক স্থাপন করা উচিত ছিল তারা সেটা করেননি। তারা দোকান ফ্ল্যাট করে বিক্রি করেছে।