মোঃমিশন আলী ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ম ধাপের ইউনয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউপি নির্বাচনকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলা হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাংলাদেশের অনেক পুরনো ঐতিহ্য। দেশে যত নির্বাচন হয়, এরমধ্যে ইউপি নির্বাচন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি থাকে সবচেয়ে বেশি। জনগণ তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেন।
ভোট দেশের প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট ব্যক্তির নিজস্ব মতামত কিংবা জনমত প্রতিফলনের একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিশেষ। তেমনি দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন নিজ গ্রামের মানুষের
গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব দেওয়া। সেই আশায় আশায় কেটে দীর্ঘ বছর।
প্রায় শত বছর পরে ফিরে এলো লস্কর বংশের নেতৃত্ব। এমনি এক বিরল ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে নিত্যানন্দপুর গ্রামে। জানা যায় এই ইউনিয়নে প্রায় শত বছর আগে পাকিস্তান এর সময়ে লস্কর বংশের মেম্বার নির্বাচিত হয় আজের লস্কর নামে এক ব্যাক্তি। এর পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও নিজেদের ভিতরে সামাজিক দন্দের জের ধরে আজের লস্কর এর পরবর্তী সময়ে তার বংশধরের কেউ গণতান্ত্রিক উপায় ভোটে নির্বাচিত হতে পারে নি।
সেই সব কিছু হার মানিয়ে শত বাঁধা পেরিয়ে আজের লস্কর এর পুতা ছেল এবারের ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণের ভোটে ৪ও ৫ নং ওয়ার্ডে মেম্বর পদে ৯০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। বিজয়ী হওয়ার পরে অনন্দ উল্লাসে জেগে ওঠে সমস্ত গ্রাম। দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পুরন হওয়ায় দল মত নির্বেশে সমস্ত জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজয়ী মেম্বর মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন এই বিজয় আমার একার নয় এটা আমার গ্রামের সবার বিজয়। আমি যত দিন বেচে থাকব আমি আপনাদের সেবা করে যাবো।
বিজয়ের পরপর জনগণের জন্য পরের দিন সকালে একটা গরু ও একটা ছাগল জবাই করে গ্রামের সবাই কে নিয়ে ধুম ধাম করে শুরু হয়ে যায় খাবারের আয়োজন। এই আয়োজন কে ঘিরে বৃহস্পতিবার দিন ব্যাপি চলছিল খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ উল্লাশ।