নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার অন্তর্গত বক্তাবলী গুদারাঘাট নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই।
যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির স্বীকার হয় এই ঘাট দিয়ে পারাপারের সময়। এ নিয়ে প্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করতে দেখা যায় অনেক ভুক্তভোগীকে।তেমনি এই ঘাটের এক নিয়মিত যাত্রী মোঃআল আমীন খান তার আক্ষেপ ও অভিযোগের কথাগুলো লিখেছেন ‘খাসমহল বালুচরের বার্তায়’।
লেখাটি হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ
বক্তাবলী গুদারা ঘাট। ব্যস্ততম নদী পারাপার ঘাট। মুন্সীগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জের চারটি উপজেলার লোকজন এই পথে প্রতিদিন নারানগঞ্জ সদরে যাতায়াত করে।ফেরি চলাচল হচ্ছে নিয়ম মাফিকই। কিন্তু গুদারা চলাচল ও পরিচালনা যেন যাত্রী বিড়ম্বনার মেশিন!
ডাকের গুদারা ভাড়া মাথাপিছু ৩ টাকা। বেশ, খুবই ভাল কথা। কিন্তু ট্রলারের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে যাত্রীপিছু হাকছে বাড়তি পাচ টাকা। এরা ছোট ছোট ৫/৬টি ট্রলার রেডি রেখে, নির্ধারিত বড় ট্রলারগুলো প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটি বা ছুতো নাতা দেখিয়ে বন্ধ রাখে। কখনো বা এক পাড়েই ইচ্ছেকৃত বিলম্ব করে দুটি ট্রলার। এই সুযোগে ছোট ট্রলারগুলো তড়িঘড়ি যাত্রীদের সময়ের সুযোগ নেয়। ডাকতে থাকে ৫ টাকা করে। অগত্যা ওপারগামী যাত্রীরা বাড়তি ৫ টাকা দিয়েই পাড় হতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ ঘাট ভাড়া ৩+৫ টাকা মোট ৮ টাকা গুনতে হয় লোকদেরকে।
৩ টাকার জায়গায় ৮ টাকা অনেক যাত্রীর জন্যই হয়তো বেশি অংক না। বড় কথা হলো, বড় বড় সার্ভিস লঞ্চ, স্টিমার, বাল্কহেড জাতীয় জলযান চলাচলের মাঝখান দিয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট ট্রলার দিয়ে ঝুকিপূর্ণ এই নদী পারাপার নারী শিশু ও বৃদ্ধ মানুষদের জন্য কতটা নিরাপদ, এই প্রশ্ন তোলার কেউ নেই।
তার চেয়েও বড় কথা ডাকের খেয়া পারাপারের ট্রলার কেন দিনের পর দিন নষ্ট, অকেজো ও নিষ্ক্রীয় করে রাখা হয়?
সেই সাথে যোগ হয়েছে নদী পাড় ঘাটের দৈন্যদশা। ট্রলার থেকে যাত্রী ওঠা-নামার কোন নিরাপদ সিড়ি। পুরনো যে কাঠের বাধা সিড়ি আছে তা ভাঙা ও ঢালু। পিছলে পড়ে যায় অনেকে! নদীর পূব প্রান্ত ঘাটে যাত্রীরা নামে ফেরীর পল্টুন বেয়ে। যা ট্রলার থেকে প্রায় দুই ফুট উঁচু। এরকম নড়বড়ে সিচুয়েশনেই হাজার হাজার মানুষ চলছে এ পথে। দেখার কেউ নাই, বলার কেউ নেই, শোনারও কেউ নাই।
জানি ফেইসবুকে এসব লিখে লাভ নাই। তবু লিখে যাই।
রিপোর্টার আল-আমীন খান