নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় ৭২ বছর বয়সী আপন দাদার লালসার শিকার হয়েছে ১৪বছর বয়সী এক কিশোরী।
এ ঘটনায় রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার পাগলা রসুলপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত দাদা কাজেম আলী হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত কাজেম আলী হাওলাদার পটুয়াখালী জেলার তালতলা থানার জাকিতা ভোগের মৃত আপেজ হাওলাদারের পুত্র এবং ফতুল্লা থানার পাগলা রসুলপুর পশ্চিম পাড়ার নজরুলের ভাড়াটিয়া।
থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা প্রায় বছর দুয়েক আগে মারা যায়। পরে কিশোরীর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অনত্র বসবাস শুরু করে। তখন থেকে কিশোরীটি তার দাদা-দাদীর সাথে বর্তমান ঠিকানার বাসায় বসবাস করে আসছিলো। এক কক্ষেই দাদা-দাদীর সাথে একই বিছানায় রাত্রী যাপন করতো কিশোরী। গত ১৭ আগস্ট রাতে প্রথমবারের মতো কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দাদা। পরবর্তীতে আরো একাধীকবার কিশোরীটিকে ধর্ষন করে সে।
বিষয়টি কিশোরী তার দাদীকে অবগত করলেও এর সুরাহা না করে উল্টো বিষযটি কারো কাছে না বলার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। একই সাথে কিশোরীটিকে ঔষধ সেবন করানো হয়। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে কিশোরীটিকে আবারো জড়িয়ে ধরে মুখ চেপে ধর্ষনের চেস্টা করলে কিশোরী বাধা প্রদানসহ ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে একই এলাকায় বসবাস করা মামার বাড়ীতে চলে যায় এবং ঘটনাটি তাদের খুলে বলে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।