আগামী ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষ একটি ক্ষেত্র তৈরি করে লাশের রাজনীতির করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা খবর পেয়েছি এ তৃতীয় পক্ষের দু-চারটা লাশ দরকার, যাতে তারা জাতীয় ইস্যু বানাতে পারে। হতে পারে তারা স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি, হতে পারে খন্দকার মোশতাকের বংশধর, অথবা মৌলবাদী। তারা এমন একটা ক্ষেত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা যে স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেটা হলো ‘আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো’। আমার নির্বাচনী এলাকায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে। যার যার ভোট সে সে দিবে। যদি কেউ এর ব্যাত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করে আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করবো যেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু বক্তব্য সারাদেশে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। যেখান থেকে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে আমরা এমন কোনো কর্মকাণ্ড হতে দেবো না। যাতে দল এবং শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আপনাদের চোখ-কান খোলা রাখবেন। যেভাবে ২০০১ সালের ১৬ জুন এ বোম ব্লাস্ট করা হয়েছিল। সামনে আরেকটা নির্বাচন আসছে, কোন নির্বাচন আমি সেটা বলতে চাই না। ঠিক একইভাবে এ এলাকায় নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য এমন কোনো গেম খেলতে পারে যাতে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে কিংবা আমরা যেন প্রশ্নবিদ্ধ হই।
এসময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাস ভাড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার মনে হয় বাস ভাড়া ভবিষ্যতে আরও কমাতে পারি। নারায়ণগঞ্জ শহর একটা ডেড সিটি বলা যায়। এখান থেকে একটি বাস ঘুরে আসতেই আধাঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। সেই ৪০ মিনিটে যতটুকু তেল পুড়ে, যানজটমুক্ত রাখা গেলে তা কমে আসবে। তখন আমরা লজিক্যালি বলতে পারি জনস্বার্থে ভাড়া কিছু কমানোর জন্য। এছাড়া প্রশাসনকে বলতে চাই যাদের রুট পারমিট নেই, সে গাড়ি গুলো যাতে না চলতে পারে খেয়াল রাখতে হবে। এতে যাদের পারমিট আছে তারা যথেষ্ট যাত্রী পাবেন। ফলে আরও ভাড়া কমানো সম্ভব হবে। এ দুটি বিষয় সম্ভব হলে মালিকদের বলে বাস ভাড়া আরও কমাতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক কারনেই তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে আমি নিজেও একটা বাস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত, যার নাম শীতল পরিবহন। সেখানে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৭০ টাকা ভাড়া হওয়া উচিত। আমি নিজে তাদের বলেছি ভাড়া কমানোর জন্য। তারা ৫ টাকা কমিয়ে ৬৫ টকা করেছে। অন্যান্য বাসগুলোও আমাদের অনুরোধে টিকিট প্রতি পাঁচ টাকা করে কমিয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে টিকিট প্রতি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৫ টাকা কমিয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। এদিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পরিবহন মালিকদের সঙ্গে সভা শেষে জেলা প্রশাসন এ ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়।