বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একযোগে ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ৪ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানায়।
তাদের মধ্যে সর্বলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত আয়নাল হকের ছেলে আজিজুল হক আজিজের প্রত্যাহারের সাড়া ফেলেছে ধামগড়ে।
প্রার্থীর প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে এই এলাকার জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে আলোচনা। তবে কেন এই মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দেয়নি।সরে দাঁড়ানোর বাকি ৩জন হলো জাহাঙ্গীর মোল্লা,মোঃ জাহাঙ্গীর ও মোঃহৃদয়।
তবে এতেও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহমেদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ের পথ সুগম হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হবে আরো ৩ প্রার্থীর সাথে।যার মধ্যে সবচেয়ে হেভিওয়েট ধরা হচ্ছে (স্বতন্ত্র প্রার্থী) জাপা নেতা কামাল হোসেন। যিনি গত নির্বাচনে মাসুম আহমেদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এছাড়াও খেলাফতে মজলিসের মুফতি আবুল কাশেম ও স্বতন্ত্র আলাউদ্দিন লড়বেন ধামগড়ের চেয়ারম্যান পদে।
প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৪প্রার্থী গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এসময় তারা নৌকা প্রতীকে লড়াই করা প্রার্থী মাসুম আহম্মেদকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়াবার কথা জানান। তারা হচ্ছেন, ফয়সাল আহমেদ হৃদয়, জাহাঙ্গীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার উপর শ্রদ্ধা রেখে আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। একই সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়া মাসুম আহম্মেদকে সমর্থন দিয়ে তার পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আসন্ন নির্বাচনে তাকে জয়যুক্ত করতে আমরা কাজ করে যাব।
তবে লোক চক্ষুর আড়ালে থেকেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেন স্বতন্ত্র হেভিওয়েট প্রার্থী আজিজুল হক। তিনি এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আয়নাল হকের ছেলে। তিনিও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, সাংসদ সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান ও উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবারের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন তাকেই আমি মেনে নিয়েছি।