সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়।
জানা গেছে, সরকারের নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বুধবারের মধ্যেই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হচ্ছে। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ হবে তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসব।
আনিসুল হক আরও বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকারের বক্তব্য শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন আগামীকালের মধ্যে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার। আমি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বসব এবং সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে সেটা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব তখন হবে।
আনিসুল হক বলেন, কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয় তখন সেটা নির্বাহী আদেশেই হয়। সেটা কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করা এক কথা এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকের পর জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
এদিকে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়ার কথা জেনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, একটি রাজনৈতিক দল বা জোট অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান কাউকে এ এখতিয়ার দেয়নি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দাবি করে জামায়াতের আমির বলেন, নিজেদের অপকর্মের দায় এড়াতে সরকার শুরু থেকেই মিথ্যাচার করছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জামায়াত ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দোষারোপ করে বক্তব্য দিচ্ছে সরকার।