নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের বক্তাবলী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জামাত শিবির নেতা আনম অলিউল্লার অপসারণ, দুর্নীতি ও নাশকতা মূলক কাজের শাস্তির দাবিতে এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা অবিযোগ প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
(২০ জানুয়ারি) শনিবার সকাল ১১ টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, বক্তাবলী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মডেল মাদ্রাসার দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ, একাধিক নাশকতা মামলার আসামীর আনম অলিউল্লা মাদ্রাসার নাম করে বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদা আদায় করে নিজেই তা ভোগ করেন। ২০২৩ সালে জানুয়ারী মাসে ঢাকার কদমতলী থানায় নাশকতা মামলায় ৪২ দিন জেল খাটে অলিউল্লাহ। তার বিরুদ্ধে বিএনপি জামায়াত জোটের নাশকতা কর্মকান্ডের ৮/১০ টি মামলা রয়েছে। কি করে তিনি এখনো রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করা সত্বে অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকে। দূর্নীতি
করে মাদ্রাসা টিকে ধবংস করে দিছে।
এদিকে সরজমিনে তদন্ত করে আরো জানা যায়,
মাদ্রাসার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারেক মোল্লা ঈদগাহ মাঠের জন্য ৫ লাখ টাকার বেশী খরচ করে একটি মিম্বর তৈরি করেন। সরকার থেকে মিম্বর নির্মাণ বাবদ এক বছর আগে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ আসলেও দুর্নীতি বাজ প্রিন্সিপাল আনম অলিউল্লাহ নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেন। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় ধুরন্দর জামাত শিবিরের নেতা, একাধিক মামলার আসামি অলিউল্লাহ সে টাকা আত্মসাৎ করার জন্য একটি কাল্পনিক ঘটনা উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় আওয়ামী লীগের ৮ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
সে অভিযোগ তুলে নেওয়া, নাশকতা মামলার তদন্ত, মাদ্রাসা হতে অপসারণ করার ব্যবস্থা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
বক্তারা আরো বলেন, আব্দুল বারেক মোল্লাকে প্রধান আসামি করে যে অভিযোগ
দায়ের করা হয়েছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যখন ঘটনা দেখানো হয়েছে তখন মাদ্রাসা ছিল খোলা ও ২২ জন শিক্ষকমন্ডলী সহ শত শত ছাত্র-ছাত্রী ছা উপস্থিত ছিল। তারা কেউ এই ঘটনা জানেনা। অলিউল্লার সাজানো অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানানো হয়। তার আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু করে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।