স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীতে একটি নীটিং প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যবসয়ীকে কুপিয়ে জখমের পরে চাঁদার দাবিতে আরেক ব্যবসায়ীকে পিটিয়েছে ঝুট সন্ত্রাসীরা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বিসিক শিল্পনগরীতে ক্রমশন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এসব সন্ত্রাসীরা। আর তাদের এহেন অপকর্মের শেল্টার দাতা হিসেবে রয়েছেন ঝিনুক গেষ্ট হাউসের দেহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রক শামীম। হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরে আবেদন করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
মামলার আবেদনে মেসার্স আল সাকী ট্রেডার্সের মালিক মো: সবুজ হোসেন সাকী উল্লেখ করেন, বিসিক শিল্পনগরীর ঝুট সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর ও তাকে বেধড়ক মারধর করে পরণে থাকা ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা হলো, আশরাফ সরদারের পুত্র রায়হান, আব্দুল হামিদের পুত্র মো: রাকিব, ফজলুল হকের পুত্র মো: ফয়সাল, দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু, সাহাবুদ্দিনের পুত্র মো: রূপম, মৃত রেজাউল বাশারের পুত্র মো: কমল। উপরেল্লিখিত সন্ত্রাসীরা সকলেই বিসিক শাসনগাও হরিহরপাড়া বাইতুল মামুর মসজিদ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। মেসার্স আল সাকী ট্রেডার্সের মালিক মো: সবুজ হোসেন সাকী নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝুট সন্ত্রাসীরা বিসিক এলাকার ঝিনুক গেষ্ট হাউসের দেহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রক শামীমের নেতৃত্বে এহেন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। উপরেল্লিখিত সন্ত্রাসীরা গত ৮ নভেম্বর বিসিক শিল্পনগরীর আরবি নীটিং কারখানায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিলন ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিসিক শিল্পনগরীর এ রহমান প্লাজায় অবস্থিত আরবি নীটিং থেকে শাসনগাঁও সরদার বাড়ির ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল কোন-কার্টনসহ ওয়েস্টেজ মাল কিনতো।
চলতি মাসের শুরুতে ফয়সালকে দুই লাখ টাকা জামানত দিতে বলেন নীটিং এর মালিক মিজানুর রহমান মিলন। কিন্তু ফয়সাল নীটিং মালিকের কথাতে রাজী হয়নি। এতে নীটিং এর মালিক আলমগীর নামের আরেক ওয়েস্টিজ ব্যবসায়ীর কাছে তার প্রতিষ্ঠানের মাল বিক্রি করেন। এতে ফয়সাল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
গত ৮ নভেম্বর রাত ৯টায় হঠাৎ করেই সন্ত্রাসী ফয়সাল, রাকিব (২৮), আকাশ (২৩), কবির (২৮), রায়হান (২৫) ও নাইমসহ (২৭) অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন সংঘবদ্ধ হয়ে রামদা, চাপাতি, ছোরা, লোহার রড ও লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে মিলনের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
মিলন তাদের বাধা দিলে তার উপর হামলে পড়ে। সন্ত্রাসীরা মিলনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এবং প্রতিষ্ঠানে থাকা শ্রমিকদের বেতনের নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।