নুসরাত জাহান বাঁধন নামে এক আবাসিক ছাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ জুন) রাত ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত ছাত্রী বাঁধনের কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার বোন বিকেলে কল দিয়ে বলেছে, তাকে সভাপতি শেলী প্রায় হুমকি দেয়, সিট নিয়ে ঝামেলা করে, অনেক সময় চাঁদা চায়। আজ সন্ধ্যায় শেলী দলবল নিয়ে তার কক্ষে এসে তাকে রক্তাক্ত করে। খবর পেয়ে আমি কলেজে এসেছি।
কলেজটির হলে নতুন বিল্ডিং নিয়ন্ত্রণ করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমুন ও পুরাতন বিল্ডিং রয়েছে সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলীর নিয়ন্ত্রণে। এদিন রাতে সাইমুনের অনুপস্থিতিতে শেলী তার কর্মীদের নিয়ে নতুন বিল্ডিংও নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেন।
তবে এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলী। তিনি বলেন, নতুন কমিটি দেওয়ার পর ছাত্রীদের সাথে আমাদের ওভাবে পরিচয় হয়নি। ক্যাম্পাসে ব্যানার টাঙানোর পরেও অনেকে আমাদের চেনে না। তারা আমাদের সালামও দেয় না। সে জায়গা থেকে আজকে ভাবলাম আমরা হলের ছাত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হবো।
তিনি বলেন, আমরা প্রথমে নতুন বিল্ডিংয়ের হলের ১ম, ২য় তলার ছাত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। তাদের নিয়ম অনুযায়ী চলার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু যখনই ৩য় তলায় যাই, সেখানে আমার সাংগঠনিক মেয়েরা যখন ছাত্রীদের পরিচিত হওয়ার জন্য রুম থেকে বের হতে বলে; তখনই বাঁধন নামে একটি তাদের বাধা দেয়। আমি কারণ জানতে চাইলে সে আমার সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
শেলী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমি হিজাব পরা ছিলাম, সে আমার হিজাব টেনে ছিড়ে পেলে। আমার নাকে-মুখে খামছি দিয়ে রক্ত বের দেয়। সে আমাকে মেরে নিজে আহত হওয়ার নাটক সাজিয়েছে। আমাকে আহত করে নাটক সাজিয়ে সে হাসাপাতালে গেছে।
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমুন বলেন, ক্যাম্পাসে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। কোন সমস্যা নেই। সব ঠিক হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্রীরা তাদের হলে অবস্থান করছে।