আমার ভাবতে কষ্ট হচ্ছে আমাকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রমাণ দিতে হলো, আমি বেঁচে আছি। আমার মৃত্যু নিয়ে এ ধরণের স্ট্যাটাস কখনও দিতে হবে ভাবিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এক শ্রেণির বিকৃত মানসিকতার মানুষ তাদের ভিউ ব্যবসা ও ফলোয়ার বাড়াবার প্রত্যাশায় মানুষের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে অসামাজিক কাজ করছে। ছড়িয়েছে আমার মৃত্যু সংবাদ। একজন সুস্থ মানুষকে মেরে ফেলার পেছনে এদের কি ধরণের মানসিকতা কাজ করে আমার বোধগম্য নয়। তারা কী একবারও চিন্তা করে না আমাদেরও পরিবার আছে, আত্মীয়-স্বজন আছে, শুভাকাঙ্ক্ষী আছে? এ ধরণের সংবাদে তাদের মানসিক অবস্থা কি হতে পারে? আমি আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোবাসায় সুস্থ আছি। ভালো আছি। আমার কোনরকম কোন দুর্ঘটনাও ঘটেনি। গত দু’দিন ধরে আমি ও আমার পরিবার এই মৃত্যু গুজবের কারণে নিদারুণ মানসিক কষ্টে আছি। শত শত মানুষ যোগাযোগ করেছেন, এখনও করছেন। সুস্থতা কামনা করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শুধুমাত্র ভিউ, লাইক, শেয়ার পাবার জন্য একজন মানুষকে এরা মেরে ফেলবে? এ কি ধরণের মানসিকতা? নাকি এদের অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে? এর আগেও বেশ কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর আগেই মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে একটি মহল। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার। যেসব মাধ্যম এবং পেজ থেকে এ ধরণের সংবাদ আপলোড হচ্ছে, শেয়ার হচ্ছে তাদের আপনারা বুঝিয়ে দিন, না জেনে না শুনে নিশ্চিত না হয়ে কোন কিছু শেয়ার করা শুধু অন্যায় নয়, অপরাধও। দেশ বিদেশ থেকে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী, আত্মীয়-স্বজন ও ভালোবাসার মানুষরা আমাকে সমবেদনা জানিয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আমার আকস্মিক মৃত্যু গুজবে যারা কষ্ট পেয়েছেন, সমবেদনা জানিয়েছেন সবার প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আর যারা এ ধরণের গুজব ছড়িয়েছে তাদের প্রতি অন্তর থেকে ঘৃণা প্রকাশ করছি। ইতোমধ্যে আমি সাইবার ক্রাইম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। আর একটি অনুরোধ, ‘গুজবে কখনও কান দিবেন না’।
আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসাই আমার পাথেয়।
২৫ মে বুধবার দুপুর ২ টা ২০ মিনিটের দিকে হানিফ সংকেত তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এইসব কথা লিখেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে মৃত্যুর গুঞ্জন ওঠে।