ফতুল্লায় কিশোরীকে অপহরণে ব্যর্থ হয়ে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের প্রতিবন্ধী পিতাসহ পরিজনদের মারধর ও ভাংচুর, থানায় অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুল ছাত্রীকে বাসা থেকে তুলে নিতে ব্যর্থ হয়ে মা ও শারিরীক প্রতিবন্ধি বাবাকে মারধর সহ দোকান ভাংচুর-লুটতরাজ করেছে বখাটে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে ফতুল্লা থানার পূর্ব লালপুরস্থ (পাকিস্তান খাদঁ) এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় রাতেই ছাত্রীটির বাবা জামাল হোসেন বাদী হয়ে একই এলাকা জাকির হোসেনের ছেলে মিরাজ হোসেন(২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
মেয়েটির বাবা জামাল মিয়া জানান, তার মেয়ে ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। স্কুলে এবং কোচিং সেন্টারে যাতায়াতের পথে বখাটে মিরাজ হোসেন তার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। এ বিষয়ে একাধিক বারন করার পরেও মিরাজ কোন কিছু গ্রাহ্য না করে উত্যক্তর মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এ জন্য গত কয়েকদিন ধরে স্কুল এবং কোচিং সেন্টারে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে বখাটে মিরাজ ১০/১৫ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী নিয়ে তার বাসায় প্রবেশ করে পড়ার টেবিল থেকে টেনে হিচড়ে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে তার মেয়ে চিৎকার করে। মেয়ের চিৎকার শুনে মা এগিয়ে এলে বখাটে সন্ত্রাসীরা মা ও মেয়েকে মারধর করে শরীরের পরিধেয় জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। ঘটনা তার ৮ বছর বয়সী ছেলে মোবাইলে ধারন করতে গেলে ছেলেকে মাথার উপর তুলে মাটিতে সজোড়ে আছাড় মেরে ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে মেয়ে ও স্ত্রী কে বাচাতে তিনি ডাক – চিৎকার করলে হামলাকারীরা তার দোকানে প্রবেশ করে তাকে মারধর করে এবং দোকানে ব্যাপক ভাংচুর করে ক্যাশ বাক্সে থাকা ১৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়৷
হামলাকারীদের কবল থেকে বাঁচতে তিনি জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়েছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে এবং পরে রাতে তিনি ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক রাশেদ জানায়, বিষয়টি গুরত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জড়তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।