আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীর লক্ষ্মীনগর এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংস ভাবে আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরও এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আসামির নাম নাম সিদ্দিক (৪৫)।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ১ এপ্রিল ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে মামলার অপর দুই আসামী ওমর ফারুক (৪৬) ও হাজী আব্দুল আলী (৬০) কে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার সূত্রমতে, নিহত আলমগীর হোসেন (৩৪) গ্রেপ্তারকৃত হাজী আব্দুল আলীর তিশা ব্রিক ফিল্ড ও ওমর ফারুক এর মারুফা ব্রিক ফিল্ডে লোড আনলোডের কাজ করত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২১ মার্চ সিদ্দিকসহ আরো ৩০/৩৫ জন আলমগীরকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত-পা-দাঁত ভেঙ্গে দেয় ও ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় পুলিশ আলমগীরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরবর্তীতে আলমগীরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
কিন্তু স্থানীয় সূত্র বলছে, আলমগীর ছিলো একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যাবসায়ী। খুন,গুম,হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আলমগীর ওমর ফারক মেম্বারের কাছে বিভিন্ন সময় চাদা দাবি করতো। এমনকি এই ঘটনার পূর্বে আলমগীর ফারুক মেম্বারের কাছ থেকে পাচ লক্ষ টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে এবং সেটায় ব্যার্থ হয়ে সে ফারুক মেম্বারের মাথায় ছুরিকাঘাত করে। সেই ছুরিকাঘাতে ফারুক মেম্বারের মাথায় ১২/১৩ টি সিলি পরে। এই ঘটনার রেশ ধরেই এলাকাবাসী আলমগীরকে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং পরবর্তীতে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।