পরকীয়ায় আসক্ত না থাকে এবং সে যেন আবার পবিত্র দাম্পত্য জীবনে ফিরে আসে শুধু আপনি ছাড়া আর কারও সংস্পর্শে না যায় দৈহিক ও মানসিক চাহিদার তাগিদে তা খেয়াল করুন এবং এমন স্ত্রীকে এই দশা থেকে ফেরাতে চেষ্টা করুন । চলুন দেখি স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে বাঁচানোর কৌশল গুলো কি কি?
১) স্ত্রীকে সময় দিনঃ অধিকাংশ পুরুষ নিজের চাকুরী, ক্যারিয়ার বা ব্যবসা নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়ে পরে যে স্ত্রীকে একটু সময় দেয়ার মতো সময় তার হাতে নেই । সারাদিন বাসার বাইরে থাকার পর রাতে একটু বাসায় ফেরার পর দেখা যায় স্ত্রী- সন্তানকে সময় দেয়া কি স্ত্রী সন্তান একটু কাছে ঘেঁষে একটু সময় একটু ভালোবাসা সুলভ আচরণ প্রত্যাশা করলে সেটাকে বাড়াবাড়ি ভেবে বসেন । স্ত্রীর আঁচলের নিচে সময় কাটানোর সময় তার হাতে নেই । এমনটাও অনেকে সদর্পে বলে থাকেন । অকারনে স্ত্রীর সতীত্ব নিয়ে সন্দেহ করবেন না ।
২) স্ত্রীকে বেশী বেশী ভালবাসুনঃ স্ত্রীকে অনেক অনেক বেশী ভালবাসুন । শুধু মনে মনে এমনভাবে ভালোবেসে যাবেন না যে স্ত্রী বুঝেই না যে আপনি তাকে ভালোবাসেন । আপনার আচরণ, কথা সব কিছুতেই যেন ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে । কারণ অনেক স্বামী এমন আছে যে মুখে বলে ভালোবাসে স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসে; কিন্তু কাজের সময় দেকাহ যায় যে স্ত্রীকে ধুমকি-ধামকির মধ্যে রাখে, বিনা কারণে তাকে বকা-ঝকা করে, তার কথার কোন মূল্যায়ন করে না । আবার অনেক স্বামী এমন আছে যে স্ত্রীকে শুধু মনে মনে বোকার মতোই ভালোবেসে গেল । এতোটাই লাজুক ও অন্তর্মুখী স্বভাবের যে স্ত্রী বুঝেই না তরা স্বামী আদৌ তাকে ভালোবাসে কি না? কাজেই স্ত্রীকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসুন এবং সেটা স্ত্রীকে বুঝার সুযোগ করে দিন ।
৩) তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করুনঃ যদি আপনি বুঝতে পারেন কোন ছেলে হোক সেটা আপনার বন্ধু বা প্রতিবেশী আপানর স্ত্রী প্রতি দুর্বল বা আপনার স্ত্রী তার প্রতি দুর্বল তাহলে এটা চেপে না রেখে স্ত্রীর সাথে খোলামেলা কথা বলুন । এবং বাজে কিছু যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে তাকে সাবধান করে দিন । বা যদি স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে যায়ও এ নিয়ে তার সাথে খোলামেলা কথা বলুন । তাকে দ্রুত ফেরান । হোক সেটা মৃদু শাসন বা ভালোবাসার মাধ্যমে ।
৪) স্ত্রীর চাওয়া-পাওয়ার মূল্যায়ন করুনঃ প্রেমিকা হিসাবে একটা মেয়ে একজন প্রেমিকের কাছে যেমন মূল্যায়ন পায় । স্ত্রী হিসাবে কিন্তু স্বামীর কাছ থেকে অধিকাংশ স্ত্রী সেরকম মূল্যায়ন এবং মর্যাদা পায় না । এমনকি বিয়ের আগে যে পুরুষ প্রেমিক ছিল তার সাথে বিয়ের পর সেই পুরুষও কিন্তু স্বামী হিসাবে পূর্বের প্রেমিকা যে এখন স্ত্রী তাকে সেভাবে মূল্যায়ন বা মর্যাদা করে না । তাই তো প্রমের বিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সেভাবে টিকে না । হয়তো পুরুষের স্বেচ্ছাচারিতা বা বিয়ের পরে বদলে যাওয়া আচরণের কারণে । তাই স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে বাঁচাতেই শুধু না সুন্দর, সুষ্ঠু দাম্পত্য জীবন এবং শান্তিপূর্ণ সংসার পেতে স্ত্রীর চাহিদার মূল্যায়ন করুন ।
৫) স্ত্রীর গতিবিধির উপর খেয়াল রাখুনঃ স্ত্রীর গতিবিধির উপর খেয়াল রাখবেন মানে এমন না যে সারাক্ষণ তার পিছনে গোয়েন্দাগিরি করবেন । তার সব কিছুতে সন্দেহের দৃষ্টি ছুঁড়বেন , বরং তা না করে স্ত্রী কোথায় যায়? কার সাথে মেশে? আপনার বাসায় কে আসে? এসব বিষয়ে কৌশলে খবর রাখুন তাহলে দেখবেন স্ত্রী পরকীয়ায় জড়ানোর আগেই তাকে সে জঘন্য বিষয় থেকে ফেরাতে পারবেন ।
৬) তাকে শালীনতার শিক্ষা দিনঃ অনেক স্বামীই আছে দেখা যায় বিয়ের পর নতুন বউকে অকারণে যখন তখন নিজের বন্ধু, কাজিন যেমন মামাতো ভাই, খালাতো ভাই, নিজের ভাই এদের কাছাকাছি ঠেলে দেয় । স্ত্রীর আপত্তি থাকার সত্ত্বেও যখন তখন নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বাসায় আশার পরিবেশ তৈরি করে দেয় । এমনকি নিজের অনুপস্তিতিতেও । প্রথম প্রথম অনেক স্বামী ও তার পরিবার একটু মেশার জন্যই পীড়াপীড়ি করে । ভাবে এটুকু মেশায় কি এমন ক্ষতি । বরং বউ সোশ্যাল হয়ে উঠবে ।