বিনোদন ডেস্ক
ঢালিউডের পরিচিত আলোচিত ও সমালোচিত মুখ চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
টানা দুই বার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিল্পীদের ভোটের মাঠে টানা তৃতীয়বার জয় পেলেও আইনি জটিলতায় এখনও চূড়ান্তভাবে চেয়ারে বসতে পারেননি। কে হবে সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক ও নাটকীয়তা।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জায়েদ খানের বিভিন্ন মন্তব্য খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। কখনও তার মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সম্প্রতি তার একটি মন্তব্য নেটমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই ভিডিওতে জায়েদ খান আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
জায়েদ খান বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। বর্তমান সরকার আমাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত করেছেন। রাজনীতি করতে আমি খুব পছন্দ করি। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। যেহেতু শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করার অভিজ্ঞতা সঞ্চার হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি আমার দলের নেত্রী কিংবা নীতিনির্ধারকরা দেশের কোথাও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনের সুযোগ দেন, কিংবা কোনো রাজনৈতিক পদবী দিতে চান তাহলে আমি সেখানে রাজনীতি করতে ইচ্ছুক। রাজনীতি নিয়ে আমার খুব ভালোলাগা আছে, দলের প্রয়োজনে আমি কাজ করতে চাই।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমি কোনো অনুপ্রবেশকারী নই। পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় নজরুল ইসলাম বাবুর ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। রোটন ভাইয়ের সঙ্গে মিছিল-মিটিং করেছি। বাবু ভাই এক দিন আমাকে সিনেমায় ট্রাই করার কথা বলেছিলেন। নতুন মুখে এসেছিলাম, নায়ক হয়েছি।’
এই চিত্রনায়কের ভাষ্য, “পকেট ভারি করার জন্য কিংবা অসাধু উপায়ে টাকা ইনকামের জন্য আমি রাজনীতি করতে চাই না। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করি। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে আমি ‘সাপোর্ট’ নামে একটি সংগঠন করেছি। এই সংগঠন থেকে অনেক অসহায় মানুষকে সহায়তা করেছি। অসচ্ছল মানুষকে দোকান করে দিয়েছি। গরীবের কান্না আমাকে খুব স্পর্শ করে।”
সবশেষে জায়েদ খান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন, তার নৌকার ছোট্ট একজন কর্মী হিসেবে আমি এই রাজনীতিটা করতে চাই। ভবিষ্যতে যদি দল আমাকে প্রয়োজন মনে করে আমি তাদের হয়ে কাজ করবো। নেত্রী যদি আমাকে গ্রীণ সিগন্যাল দেয়, আমি দেশের জন্য কাজ করতে ইচ্ছুক। দলের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। সংসদে না বসেও কাজ করা যায়।’