আমার বিয়ে হবে কি না আমি এ বিষয়ে চিন্তিত এমনটাই মন্তব্য করেন বদরুন্নেসা কলেজের ঐশি নামের বাংলা বিভগের এক শিক্ষার্থী।
তিনি আরো বলেন করোনায় সময় পড়াশোনার সুযোগ কম পাওয়ায় এবং ক্লাস ঠিকমত না হওয়ার জন্য আমার পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ছিলাম এছাড়াও দুই ঘন্টা পরিক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতাও প্রথম। এত কিছুর পরও আমাদের রেজাল্টের এমন বিপর্যয় আমাদেরকে আশাহত করেছে।
গ্রামের মেয়ে হওয়ায় আমার অধিকাংশ বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেছে শুধু পড়াশোনা বিষয় বিবেচনা করে আমি এখনও পরিবারের অসম্মতির সত্ত্বেও অবিবাহিত আছি কিন্তু বর্তমানে আমার রেজাল্টের যে দুরবস্থা তাতে আমি এখন না পারছি প্রমোট হয়ে ক্লাসে উঠতে আর না পারছি কোন ভাল ছেলের সাথে বিয়ে করতে।
ইডেন মহিলা কলেজের আরেক শিক্ষার্থী বলেন,
করোনার জন্য আমরা এমনিতেই ২ বছর পিছিয়ে আছি। পারিবারিকভাবে বার বার তিরস্কৃত হচ্ছি।আমার ফ্রেন্ডসার্কেলের অনেকই সোইসাইড করার চিন্তা করছে।আমাদের ভবিষ্যত কি হবে জানিনা।
এমনই সব বুক চাপা আর্তনাদের গল্প নিয়ে আজ বুধবার(১৬ মার্চ) সকাল ১১ টায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ব্যাস্ততম স্থান নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অনার্স (১৯-২০,১৮-১৯,ও ১৭-১৮) সেশনের শিক্ষার্থীরা তাদের রেজাল্ট বিপর্যয় সহ তিন দফা দাবীতে নীলক্ষেত মোড়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
শিক্ষার্থীদের এ দাবি গুলো হলো,
১.করোনা সংক্রমনের কারণে cgpa শর্ত সিথিল করে ১ম,২য়,এবং ৩য় বর্ষের (১৯-২০,১৮-১৯,১৭-১৮)
প্রকাশিত সকল বিভাগের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে।
২। দর্শন বিভাগের প্রশ্নের মানবন্টন পরিবর্তন করতে হবে,,, ১০০ মার্কের পরিবর্তে ৮০ মার্কের পরিক্ষা নিতে হবে এবং ২০ মার্ক ইনকোর্স এর মাধ্যমে যোগ করতে হবে
৩। গণহারে ফেইল করার কারণ ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে।