নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার ঘোষণা। রাজধানীর রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) প্রদত্ত ১৮ মিনিটের এ ভাষণে তিনি স্বাধীনতার রূপরেখা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাঙালির মুক্তিদাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ভাষণ সাত কোটি বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে এবং বাঁশের লাঠিকে পরিণত করে মারণাস্ত্রে। যার ফলে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা লাভ করি হাজার বছরের স্বপ্নলালিত কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
কে এম খালিদ বলেন, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করেন। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। বঙ্গবন্ধু এতে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রেপ্তার হন। কে এম খালিদ বলেন, দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বে ১৯৪৭ সালের ৭ আগস্ট প্রস্তাবিত পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ও মর্যাদা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যা পরবর্তীতে সত্য বলে প্রতিভাত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি।