অনলাইনে ক্লাস ও আমাদের শিক্ষা
আজ শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন।আজ ঘোষণা হলো স্কুল কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের।২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রতিষ্ঠানগুলো।করোনা শুরুতে ১৩ দিনের বন্ধের কথা থাকলেও স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখ দেখেনি অনেক মাস। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। এর মাঝে শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে ক্লাসও শুরু করেন।অনলাইনে ক্লাসের জন্য দরকার স্মার্টফোন।দীর্ঘ লকডাউনে অর্থনৈতিক সমস্যা তার উপর স্মার্টফোন কেনা অনেক অভিভাবকের জন্য কষ্টের হয়ে যায়।সে সময়ে দেখা গেছে স্মার্টফোন না পেয়ে মা বাবার সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে এক শিশু।তবে অধিকাংশ অভিভাবক বাচ্চাদের লেখাপড়ার কথা ভেবে কিনে দেন।অভিভাবকদের কষ্ট হলেও শিশুদের কাছে যেন মেঘ না চাইতে জল পাওয়ার মত ছিল।একটি স্মার্টফোন হাতে থাকা মানেই হাতের মুঠোয় বিশ্ব থাকা।আর ক্লাসের অবসরে সে বিশ্বে অন্বেষণে কৌতুহল থাকা স্বাভাবিক। সে কৌতুহলে তারা জড়িয়ে পড়ে পাবজি,ফ্র ফায়ার এমনকি পর্ণসাইডগুলোতেও।অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পাবজি ফ্রিফায়ার বন্ধ হলেও পর্ণসাইড বন্ধ সম্ভব হয়নি।তাছাড়া ইউটিউবগুলো খুবই খোলামেলা ভিডিও দেখা যায়।যেগুলো শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। পাবজি ফ্রিফায়ার শিশুদের প্রতিবন্ধী বানিয়ে ফেলছিল।তাছাড়া দীর্ঘদিন স্মার্টফোন ফোনে চোখ রাখলে চোখের ভীষণ ক্ষতির কথ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।যেখানে স্মার্টফোন সার্বিকভাবে শিশুদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও বিপদগামী বানাতে সহায়ক সে স্মার্টফোনকে অনলাইনে ক্লাসের নামে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া কতটা যৌক্তিক, সেটা ভেবে দেখার আবেদন অনেক অভিভাবকের মত আমারও।সেই সাথে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা ভাবা উচিত।না হলে আগামীতে স্কুলে আর বাচ্চাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ সময়ে এমনিতেই শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।এভাবে স্কুল বন্ধ থাকলে শিক্ষা খাত ধ্বংসের মুখে পড়বে নিশ্চিত। এখনই এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে সে জায়গা থেকে উত্তরণের পথ পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।