নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত এবং সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত প্যানেল হতে ‘আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক’ পদে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য চন্দন শীলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এড. আব্দুল মান্নান।
সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী হওয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় এড. আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আমাকে এবং জুয়েল-রনি পরিষদের সকলকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করানোর জন্য আমি বিজ্ঞ আইনজীবীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সেই সাথে জুয়েল-রনি পরিষদের সকলকে সাথে নিয়ে আইনজীবীদের জন্য কল্যানকর কাজ করে যাবো।
এসময় তরুন এই আইনজীবী তার জয়ী হওয়ার পেছনে থাকা নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে বলেন, মাননীয় সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান ও এ কে এম শামীম ওসমান এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতির রুপকার চন্দন শীলের অকুন্ঠ সহায়তা, সমর্থন, সহযোগিতায় আমার এবং জুয়েল-রনি পরিষদের আজকের এই বিজয়। তাদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়েই নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ তথা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নিরংকুশ বিজয় সুনিশ্চিত হয়েছে। তাই আমার মহান অভিভাবক এ কে এম শামীম ওসমান, একে এম সেলিম ওসমান এবং চন্দন শীলের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং তাদের দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গননা করে রাত দশটার দিকে আওয়ামী সমর্থিত জুয়েল-রনি পরিষদকে সমিতির ১৭টি পদের সবক’টিতে বিজয়ী ঘোষণা করে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. সামছুল ইসলাম ভুইয়া। এসময় তিনি জানান, আইনজীবী সমিতির ১০৩৮টি ভোটের মধ্যে ৯৯২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ফলাফলে দেখা যায়, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে এড. আব্দুল মান্নান ৬৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, বিপরীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মামুন মাহমুদ পেয়েছেন ২৫৩ ভোট। ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৭ টি পদের বিপরীতে বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে এড. আবদুল মান্নানই সর্বোচ্চ ভোট তথা সর্বাধিক সংখ্যক আইনজীবীর সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।