নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর লক্ষীনগরে উগ্র চলাফেরায় বাঁধা দেয়ায় মেয়ে জামাইয়ের বাড়ীতে শ্বশুর, শালার হামলায় জামাইয়ের পিতা, মাতা, ভাগিনাসহ আহত হয়েছে ৪জন। এসময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে লক্ষীনগরের পশ্চিম পাড়া এলাকার মুসলিম প্রধানের বাড়ীতে এই হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। এতে মুসলিম প্রধানের ছেলে দিলাওয়ার হোসেন (৩১) তার স্ত্রী, শ্বশুর, শালাসহ মোট ৮ জনকে বিবাদী করে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্তরা হলেন স্ত্রী সামিয়া আক্তার (২৬), শ্বশুর শাহীন বেপারী, শ্বাশুড়ি মাহমুদা বেগম (৪৮), শালা মাসুদ (২২), সুমন্ধি মামুন (৩০), শহিদ বেপারী (৪৪), আয়নাল (৫৫) এবং রানা(৩৮)। অভিযুক্তরা বেশিরভাগই এনায়েতনগরের ধর্মগন্জের বাসিন্দা। দেলোয়ারের বাড়ীতে হামলার সময় অভিযুক্তরা নগদ ১,৩৫,০০০ টাকা এবং ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়।
থানা সুত্রে জানা যায়, গত ৭ বছর আগে দেলোয়ার ও সামিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৬ বছরের মেয়ে হাবিবা এবং ৬ মাস বয়সের ছেলে সোয়েব আছে। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে সামিয়া পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। এব্যাপারে দেলোয়ারের একটি মামলা ( ১৯৬/২০১৯) নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে বিচারাধীন আছে। পরবতীতে শ্বশুর শ্বাশুড়ি ও সালাদের মধ্যস্থতায় মিমাংসা হলেও সংসার জীবনে সামিয়ার আচরনের কোনো পরিবর্তন হয়না। সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি সামিয়া বাচ্চাদের রেখে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। দেলোয়ার শ্বশুরবাড়ী যোগাযোগ করলে তাকে হুমকি ধামকি দেয়া হয়। তিনি তখন থানায় জিডি (নং ১০) করেন। এরপর ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা দেলোয়ারের অনুপস্থিতিতে তার বাসায় জোড় করে ঢুকে হামলা চালিয়ে মা, বাবা, ছোট ভাই ও মামাকে কাঠের ডাসা, রড দিয়ে এলোপাতাড়ি শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে জখম করে। তারপর বাড়ীতে নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা বক্তাবলী গুদারাঘাট এলাকায় দেলোয়ার এবং তার দুই ভাগিনাকে পেয়ে অতর্কিত হামলা করে জখম করে। এসময় তারা দেলোয়াকে হুমকি দেয় এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শামীম বলেন, বিষয়টি পারিবারিক, দেলোয়ারের সংসারের দুটি বাচ্চা আছে। সবকিছুই বিবেচনা করতে হবে। আমি দুপক্ষকেই থানায় ডাকবো। এর মাঝে তদন্ত চলতে থাকবে।