স্টাফ রিপোর্টারঃ মুছাওবীর মিশু (রংপুর প্রতিনিধি)
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে দাফনের পাঁচ মাস পর হোটেল ম্যানেজার মিলনের (২০) গলিত লাশ ময়নাতদন্তর জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের হরিণমারী গ্রামের মোঃ রাজু মিয়ার ১ম পুত্র মিলন অন্যান্য দিনের ন্যায় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর পাশ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরাহাটে হোটেলের জন্য গাভীর দুধ কিনতে যায়। ক্রয় শেষে সদরের শিল্পী ভোজনালয়ের সহকারী ম্যানেজার মিলন অপর ব্যক্তি একই হোটেলের বাবুর্চি জিন্নাহ ও ভ্যান চালক রবিউলসহ গন্তব্যেরউদ্দেশ্য রওনা দেয়।
পথিমতে চলন্তরিকশা ভ্যানে মিলনকে পাইপ ও ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে জিন্নাহ ও ভ্যান চালক সহ শেখ ফরিদ(২৬), পলাশ (২৮) গামা (৩০)। পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে এবং মাইক্রোবাসে চিকিৎসার জন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে রক্ত পরিষ্কার করে মিলনের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সম্মতিতে লাশ দাফন করানো হয়নি । দূর্বৃত্তরা আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ২৪ -শে ডিসেম্বর সকাল ১১ ঘটিকার সময় মিলনকে দাফন দেওয়া হয়। এবং হোটেল এর মালিক দুলু মিয়া নানান ধরনের অজুহাত দেখায় যে মিলন বুকের ব্যাথায় মারা গেছে, আসলে দুলু মিয়া মাদক সহ সকল ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে সমপৃক্ত থাকার ফলে প্রশাসক কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে হাত করে । বিষয়টি মিলনের পিতা মোঃরাজু মিয়া ও মিডিয়া ঘটনা স্থানে বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারে যে মিলন কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মোঃ রাজু মিয়া বাদী হয়ে জিন্না ও রবিউলকে আসামি করে ১১ মে ২০০৭ পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে লাশ উত্তলন পূর্বক ময়নাতদন্ত সম্পন্ন সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে শাস্তির জন্য আবেদন করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল রফিকের উপস্থিতিতে মিলনের গলিত লাশ উত্তোলন পূর্বকময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
কিন্তু হোটেল মালিক দুলু মিয়া দৈনিক করতোয়া ২৪ মে ২০০৭ সালে মিথ্যা নিউজ করেন।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন এর নজরদারি জরুরি।