পাকুন্দিয়ায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্বা
মোহাম্মদ ছালাহ্ উদ্দিন উজ্জ্বল বিশেষ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী(১৩) ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। সে বারাবর আলিম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটিয়েছে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বারাবর গ্রামের মৃত আহাম্মদের ছেলে আব্দুল্লাহ (৪৫)।
আব্দুল্লাহ প্রায় ১ বছর ধরে নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছে। এতে ছাত্রীটি ৬ মাসের অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে।
অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে তার পরিবার আব্দুল্লাহ কে ঘটনাটি অবহিত করে। এলাকায় বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
তারপর থেকে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ গা ঢাকা দেয়।
ঘটনার ব্যাপারে এলাকার প্রাভাবশালী শাহাব উদ্দিন শাহাব (সৌদিপ্রবাসী) , তার সহযোগী মুর্শিদ উদ্দিন উরফে গোল মুরশিদ ও এগারসিন্দুর ইউনিয়নের সহকারী নিকাহ রেজিস্টার তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে গভীর রাতে গ্রাম্য শালিশে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ধার্য করে মীমাংসা হয়। এবং ছাত্রীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এবং আইনের আশ্রয় নিলে শালিসীরা ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয় বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শালিশের প্রধান মো. শাহাব উদ্দিন শাহাব বলেন, আমার পাশের বাড়ির চাচা-ভাতিজির ঘটনা। সুষ্ঠু সুন্দর ভাবে থাকার জন্য ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছি।
সহকারী কাজী তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীটির বয়স অপ্রাপ্ত হওয়ায় নিকাহ রেজিস্টারি করতে পারিনি।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ঘটনার ব্যাপারে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।