নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহকারী নারী সংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মূলহোতা হাজী ওসমান গণিকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর পাশা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২৬ অক্টোবর দিনগত মধ্যে রাতে ফতুল্লার আকবর নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী ওই এলাকার হাজী সামাদ আলীর ছেলে।
লে. কর্নেল তানভীর পাশা জানান, গত ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুস্কৃতিকারীদের হামলার শিকার হন বেসরকারি টেলিভিশন আনন্দ টিভির নারী সাংবাদিক মনি ইসলাম (২৬) যা পরবর্তী দিনে স্থানীয় সকল দৈনিক এবং বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘটনার দিন উক্ত নারী সাংবাদিককে হামলাকারীরা তাদের এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে দেখে উস্কানীমূলক বিরূপ মন্তব্য করে এবং তার সাথে অসদাচরণ করে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক তাদের অসদাচরণের প্রতিবাদ করলে দুস্কৃুতকারীরা তাকে মারধর শুরু করে এবং একপর্যায়ে তার পেটে লাথি মেরে গুরুতরভাবে আহত করে। আক্রান্ত নারী সাংবাদিককে উক্ত হামলা থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে এশিয়ান টিভির ক্যামেরা ম্যান আবু বক্করসহ মোট দুইজন হামলাকারীদের হামলা ও লাঞ্চনার শিকার হন।
হামলাকারীরা ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকের মোবাইল ফোন, মাইক্রোফোন ও হ্যান্ডি ক্যামেরা কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে হামলার শিকার হওয়া আহত নারী সাংবাদিক ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক মহলসহ স্থানীয় সুশীল সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। উক্ত চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত ও নিবিড় অনুসন্ধান শুরু করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায় এবং হামলাকারী উক্ত দুস্কৃতিকারী চক্রের মূলহোতা হাজী ওসমান গণিকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
অতঃপর র্যাব-১১, সিপিএসসি এর একটি চৌকস আভযানিক দল কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন আকবর নগর এলাকা থেকে উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রধান আসামী হাজী ওসমান গনিকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী নারী সাংবাদিকের উপর হামলা ও মারধরের কথা স্বীকার করে। উক্ত হামলায় জড়িত পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে।