সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে নগরীর দেওভোগ এলাকার মৃত আবুল খন্দকারের পুত্র দিদার খন্দকার ও তার চাচাদের বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ২৭ ফেব্রুয়ারী রোববার প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী দিদার খন্দকারের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে মামলার বাদী মতিউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় নানা বক্তব্য প্রকাশ করা হয় ।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারী) প্রকাশিত সংবাদের জবাবে দিদার খন্দকারের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন নির্ভর রিয়েল স্ট্রেট এর কর্ণধার মতিউর রহমান সুমন।
লিখিত প্রতিবাদে মতিউর রহমান সুমন প্রকাশিত দিদার খন্দকারের বক্তব্যের প্রতিবাদে জানান, দিদাদর খন্দকার একজন ৩০ টাকা রোজের শ্রমিক ছিলেন । তিনি কোথা থেকে এতো সম্পত্তির মালিক হলেন ? এক সময়ে ভিউ কার্ড ও ক্যাসেট বিক্রেতা দিদার খন্দকা্র পৈত্রিক সূত্রে পৌনে ১ (এক) শতাংশের মলিক । প্রতারক দিদার চুরির মামলাসহ অসংখ্য মামলায় জেল খেটেছে। জেল খাটা অপরাদের বিষয় না, কিন্তু কিছুদিন আগেও যিনি একজন সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে খেয়াঘাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছে সেই শ্রমিক কি করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন ? অর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে কাউন্সিলর নির্বাচন করেন ? তিনি এতো টাকা কোথায় পেলেন ? এমপি মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা জায়গায় নানা অপকর্ম বিষয়ে জানতে এমপি মহোদয়ের কাছে ফোন দিলে তিনি (এমপি মহোদয়) এই দিদার খন্দকারকে চিনেন না বলে জানান।
প্রতারক দিদার খন্দকার “খন্দকার হাউজিং“এর নাম ভাঙ্গিয়ে ফ্ল্যাট ও দোকান মালিকদের সাথে প্রতারনা করলেও মূলতঃ খন্দকার হাউজিংয়ের মালিক হলেন ঢাকায় বসবাসকারী লতিফ হোসেন খন্দকার । যার নারায়ণগঞ্জে কোন আত্মীয় স্বজন নাই । বা প্রতারক দিদারের সাথে কোন সম্পর্কও নাই । আবাসিক প্লান পাশি করিয়ে কমার্শিয়াল স্পেস বিক্রি করাও প্রতারনা। একটি প্লান পাশ ও বিল্ডিং মাঝখানে সেটবেক বা খালি জায়গা রাখা বা চলাচলের রাস্তা রাখাও প্রতারণা । যা করছে দিদার খন্দকার । দিদার খন্দকার হাউজিং কোম্পানীর মালিক না হয়েও মালিকানা প্রকাশ করাও প্রতারনা । ৩০ টাকার লেবার পরিচয় দেয় রোটারিয়ান । যার কোন ইনকাম ট্যাক্স ফাইল নাই, ট্যাক্স ফাইল ছাড়া কোম্পানীর মালিক হলেন কি করে ?
একই সাথে আমি নির্ভর হাউজিং, গ্লোভাল ট্রেডার্স, নির্ভর হিল এগ্রো এন্ড হ্যাচারী ছাড়াও নির্ভর রিয়েল স্ট্রেট ও সুমন এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি । আমি বছরের পর বছর লাখ লাক টাকা ইনকাম ট্যাক্স প্রদান করে সরকারের সাফল্যে সামান্য অশিংদার হওয়ার চেষ্ট করে যাচ্ছি ।
আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার ও প্রতারনার বিষয়ে উচ্চ আদারতে একটি রিট দাখিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রস্ততি গ্রহণ করেছি ।
একই সাথে আমার মালিকানা আদায় করতে দিদার খন্দকারের চাচা আব্দুল আজিজ ও আব্দুল কুদ্দুস খন্দকারের কাছ থেকে ১২৫৮৫ এবং ১৪৭২ দলিলমূলে ক্রয় করা দুটি ফ্লাটের মালিকানা আদায় করতে জোড়া দাবী করছি ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে দিদার খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালত ই ফায়সালা করবে কে ভালো আর কে মন্দ । আমি জামিন নিয়েছি । আইনানুগভাবেই আমি এমন ঘটনার জবাব দেবো ।