স্টাফ রিপোর্টার:
শ্বশুড় শাশুড়ী ও স্ত্রীর মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন প্রবাসী মাসুম সরকার। মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত ২৬ এপ্রিল সকালে আত্মহত্যার করেন তিনি। এমন অভিযোগ করেছে আলীরটেক ইউনিয়ন নিবাসী প্রবাসী মাসুম সরকারের পরিবার।
জানাগেছে, নিজের এবং পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বিদেশে পারি জমান মাসুম সরকার। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করে অবশেষে দেশে ফিরেন। তবে, প্রবাসে থাকাকালীন সময় থেকেই বিভিন্ন কৌশলে মাসুম সরকারের স্ত্রী রিয়া মনি ও তার শশুর শাশুড়ী নানা কৌশলে প্রচুর পরিমান নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। তাছাড়া একটি জমিও নিজেদের মেয়ে অর্থাৎ মাসুম সরকারের স্ত্রী রিয়া মনির নামে লিখিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, মাসুম সরকারের প্রচুর পরিমান অর্থ তার শাশুড়ীর কাছে জমা ছিলো। তবে দেশে ফেরার পর থেকেই মাসুম সরকারের ওপর না রকম মানষিক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তার স্ত্রী ও শ্বশুড় শাশুড়ী।
সূত্রমতে, প্রবাসী মাসুম সরকারের শ্বশুড় মনির হোসেন এক সময় আলিরটেক এর আলোচিত সামান্য আইসক্রিম ওলাকে হত্যা মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘ বছর পলাতক ছিলেন এবং পরিশেষে আলীরটেক থেকে জনগণ তাকে বিতাড়িত করেন । সেখান থেকে পালিয়ে পরিবার নিয়ে চিটাগাং রোডে বসবাস করতে থাকেন ।
এদিকে, প্রবাসী মাসুম সরকারের কাছ থেকে আরো অর্থ হাতিয়ে নিতে তার শাশুড়ি এবং মেয়ে রিয়া মনির পরিকল্পিত চক্রান্তে দিনের পর দিন মানষিকভাবে ভেঙ্গে পরেন তিনি। অবশেষে ২৬ এপ্রিল শুক্রবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেন মাসুম সরকার।
মাসুম সরকারের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা কোন সমাধানের পথ হতে পারে না। হয়তোবা মাসুম মানষিক আঘাতে এতটাই বিপর্যস্ত ছিলো যে তা সইতে না পেরে শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আমাদের দেশে শারীরিক নির্যাতনের আইন আছে কিন্তু মানসিক নির্যাতনের কোন আইন এখনো তৈরি হয়নি। মানসিক নির্যাতন সহ্য করার মতো ক্ষমতা সবার থাকে না । সেজন্যই মাসুম সরকারের মত অসংখ্য মাসুম আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। কিন্তু এটা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। নির্যাতন সেটা হোক শারীরিক বা মানসিক, সেটা হোক পুরুষ বা মহিলা, আইন সবার জন্য সমান। তাই মাসুম সরকারের আত্মহত্যার পিছনে যারা পরোক্ষভাবে দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা কামনা করেছে তার পরিবার।