বিচার পাননি সেলিমা, ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ছিনতাইকারীদের পক্ষে বন্দর পুলিশ!
বন্দরে ছিনতাইকারীদের কবলে পরে সর্বস্ব খুইয়ে থানায় গিয়েও প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী পঞ্চাশোর্ধ সেলিমা রহমান। অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ছিনতাইকারী চক্রের সাথে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা এবং বন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ বর্ণনা করে এসপির কাছে প্রতিকার চেয়েছেন ওই নারী। এরআগে, তার ছেলে সিনহার কাছ থেকে প্রায় দেড় লক্ষ নগদ টাকা, দামী মোবাইল ও সোনা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন বাদি সেলিমা রহমান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার সুরাহার জন্য করা আবেদনে ভুক্তভুগী নারী সেলিমা রহমান বলেন, ১৫ জানুয়ারী রাত ৯টার দিকে বন্দর থানাধীন কদম রসূল কলেজ সংলগ্ন ওয়ালটন শো-রুমের পাশে বিবাদী ইসমাইল মিয়ার পুত্র সোয়াদ (২২), বাহাউদ্দিনের পুত্র নাঈম (২৩), মান্নানের পুত্র রমজান, মুনছুরের পুত্র নয়ন, শুভ, শোভনসহ খাদেমপাড়ার আজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জন আমার ছেলে সোহানুর রহমান সিনহা (২৩) ও তার বন্ধু সাকিবকে একা পেয়ে পথরোধ কওে মারধর এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে সিনহার কাছে থাকা ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭০০ নগদ টাকা, দুইটি স্মার্টফোন, রোলেক্স ঘড়ি এবং ১০ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স, এনআইডি কার্ড, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসপি বরাবর আবেদনকৃত ওই অভিযোগে বাদী সেলিমা রহমান বিশেষভাবে উল্লেখ্য করে বলেন, ইতিপূর্বে মো. নাদিমের মাধ্যমে আসামীদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চাইলেও এখন আর তা দিচ্ছে না। পরবর্তীতে আমি গোপন সূত্রে জানতে পারি যে, বন্দর থানার ওসি এবং এস আই সাহিদুল মিয়া আসামীদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে।
এমনসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফাকে মুঠোফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।