বক্তাবলীর রাধানগরে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় জলীল গাজী ও আলহাসান গং কর্তৃক যুবককে মারধর ও গাড়ি ভাংচুর
ফতুল্লার বক্তাবলীর রাধানগর এলাকায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় সাইদুল ইসলাম নামে যুবককে মারধর, গাড়ী ভাংচুর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জলিল গাজীগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম জলিল গাজীগংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে রাধানগর এলাকার আহমদ মৃধার ছেলে সাইদুল ইসলাম উল্লেখ করেন যে, বিবাদীগণ অত্র এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। আমি রাধানগর লেংটার বাড়ীর মসজিদের সাথে একটি গ্যারেজ দিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। বিবাদীগণ প্রায় সময়ই আমার গ্যারেজের সামনে আসিয়া মাদককার্য পরিচালনা করিত ক্রয়-বিক্রয় করিত। আমি বিবাদীগণদেরকে বহুবার আমার গ্যারেজের সামনে এহেন কার্যকলাপ করিতে নিষেধ করিলেও বিবাদীগণ আমার কথার কোন প্রকার কর্ণপাত না করিয়া আমার নিকট টাকা পয়সা দাবী দাওয়া করতঃ উক্ত এলাকায় আমাকে কোন ব্যবসা করিতে দিবেনা মর্মে হুমকি ধামকি প্রদান করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টায় একই এলাকার জলিল গাজী, খোরশেদ, নাছিরের ছেলে আল হাসান, মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে মো.সবুজ, খোরশেদ গাজী মীর, মৃত.মাঃ আমিরের ছেলে আসাদ মিয়া ও বাচ্চু মিয়া, মৃত. আনসার আলীর ছেলে অঃ মোতালিব, নেন্টু মিয়ার ছেলে মো. রিফাতসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জন
একজোট বদ্ধ হইয়া আমাকে বেধরম ভাবে মারধর করিয়া আমার গাড়ী ভাংচুর করা সহ আমার নিকট টাকা পয়সা নিয়া যায়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে স্থানীয় ভাবে বিচার শালিশের কথা থাকিলেও বিবাদীগণ কোন বিচার শালিশি না মানিয়া আমাকে হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখিয়াছে। এমতাবস্থায় অদ্য ইং- ১০ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ টায় আমি আমার গ্যারেজে যাওয়ার সময় ৩ হইতে ৯নং বিবাদীগণের পরামর্শ মোতাবেক উক্ত ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আমাকে অত্র ফতুল্লা মডেল থানাধীনস্থ রাধানগর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সামনে পাইয়া অতর্কিতভাবে এলোপাথারী মারধর করিতে আরম্ভ করে। ১নং বিবাদী আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা হকিষ্টিক দ্বারা আমার মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া আমার ডান হাতে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। ২নং বিবাদী আমাকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মারিতে থাকে। অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আমাকে মারপিট করিতে থাকাবস্থায় ১নং বিবাদী আমার সাথে থাকা ব্যাগে রক্ষিত ব্যবসায়ীক নগদ- ২ দুই লক্ষ টাকা নিয়া যায়। এমতাবস্থায় আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে উক্ত ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে এবং আরও বলে যে, আজ হোক কিংবা কাল হোক তোকে যেখানে পাইবো জীবনে শেষ করিয়া ফেলাইবো। তুই যদি পূর্বের ঘটনার বিষয়ে কিংবা এই ঘটনার বিষয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করিস কিংবা কোন ধরনের আইনের আশ্রয় নিস তাহা হইলে তোকে সহ তোর পরিবারের লোকজনকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলাইবো নতুবা যেকোন মিথ্যা মামলায় ফাসাইয়া দিব মর্মে হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। অতঃপর আমার অবস্থা গুরুত্বর দেখিয়া আমাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল খানপুর নিয়া চিকিৎসা গ্রহনের পরও বিবাদীগণ এরূপকার্যকলাপ করিয়া আমাকে হয়রানী করিতেছে। বিবাদীগণ যেকোন সময় আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের আরও বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে বলিয়া আমার আশঙ্কা হইতেছে।
এই ঘটনায় সংঙ্কিত সাইদুল ইসলাম ও তার পরিবার সঠিক তদন্ত পূর্বক দোষীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছে।