নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের মধ্যনগরের মাদকাসক্ত, কিশোর গ্যাং লিডার মোমেন বাহিনীর হাতে গুরুতর রক্তাক্ত জখমে হয়েছে শফিকুল ইসলাম। গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শফিকুল। জানা যায়, ২২ই ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) মধ্যনগরের জলিলের ভিটার সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে শফিকুলকে ধারালো সুইচ গিয়ার ও অস্ত্র দিয়ে মাথায় এবং পায়ে আঘাত করে অভিযুক্ত মোমেন ও তার সহযোগিরা।
এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গুরুতর রক্তাক্ত জখম শফিকুলের বাবা নওয়াব মিয়া বাদী হয়ে মোমেন কে প্রধান আসামী করে রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) মামলা নং -৫১ দায়ের করেছেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় মধ্যনগর বড় জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে কিশোর গ্যাং লিডার গফুর মিয়ার পুত্র মোমেন,মুছা মিয়ার পুত্র মুজাহিদ, মৃত খোরশেদের পুত্র কসাই শরীফ, মৃত আশক মিয়ার পুত্র গফুর মিয়া,মোকসেদের পুত্র মুছার নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। উল্লেখিত আসামী সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ মিলে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কুপিয়ে শফিকুল ইসলাম কে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
শফিকুলের স্বজনরা আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শফিকুল ইসলাম।
মামলায় আরো উল্লেখ করেন উপরে উল্লেখিত আসামী সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন আমার ছেলে ভিকটিম শফিকুল ইসলামের সাথে একত্রে চলাফেরা করিতো। চলাফেরা কালে তাদের মধ্যে মত বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে বিবাদীরা আমার ছেলেকে বিভিন্ন সময়ে মারিয়া ফেলার জন্য হুমকি দিতো। ২২/১২/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমার ছেলে শফিকুল ইসলাম আমার বাড়ীর মধ্যে থাকা নিজেদের মুদি দোকানে বসা ছিল। ঐ সময় পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে উক্ত বিবাদীগন হাতে ধারালো ছোরা, গরুর মাংশ কাটার ধারালো ছুরি ইত্যাদি সহ আমার দোকানে আসিয়া ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
তখন আমার ছেলে প্রতিবাদ করিলে ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্য ঘাড়ের পিছনে কোপ মারিয়া বাম কান হইতে ডান কান পর্যন্ত গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। তখন আমার ছেলে চিৎকার দিয়া মাটিতে পড়িয়া গেলে ২নং ও ৩নং বিবাদীর নিকট থেকে গরুর মাংশ কাটা ধারালো ছুরি নিয়া বাম পায়ের রানের নিচে পার দিয়া হাড় ভেদ করিয়া মাংশ বাহির করিয়া ফেলে। ৩নং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্য আমার ছেলের বুকের উপরে একাধিক লাথি মারিতে থাকে।
ফলে আমার ছেলে জ্ঞান হারাইয়া ফেলে।অজ্ঞাত নামা বিবাদীগন ও আমার ছেলে কে মারধর করে। পরবর্তীতে ১নং বিবাদী আমার দোকানের ক্যাশে থাকা ১২,০০০/( বার হাজার ) টাকা এবং ২নং বিবাদী আমার ছেলের একটি স্যামসাং মোবাইল সেট মূল্য অনুমান ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার ) টাকা নিয়া নেয়। আমি মাঠে কাজ অবস্থায় ঘটনা প্রত্যক্ষ করিয়া চিৎকার দিলে বাড়ীর লোকজন সহ আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা হুমকি দিয়া পালাইয়া যায়। পরবর্তীতে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার ছেলের অবস্থা আশংকাজনক দেখিয়া ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। থানায় মামলা দায়ের করার এক সপ্তাহ পেরোলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।অথচ এলাকাবাসী জানায়, অভিযুক্ত আসামীরা এলাকায় অনায়াসে ঘুরাফেরা করছে